শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আবেদন: ট্রাইব্যুনালে শুনানি আজ
- By Jamini Roy --
- 05 December, 2024
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বন্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছে প্রসিকিউশন। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে প্রসিকিউশনের পক্ষে এ আবেদন দাখিল করা হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা হায়দারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে দুপুরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। প্রসিকিউশন বলছে, শেখ হাসিনার এসব বক্তব্য বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন। সেই বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তার এই বক্তব্যগুলোকে কেন্দ্র করেই প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছে।
প্রসিকিউশন জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তা বন্ধ করা জরুরি। প্রসিকিউশনের মতে, শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করছে এবং শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের বক্তব্য প্রচার বন্ধ হওয়া উচিত।
এর আগে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই তদন্তের প্রতিবেদন আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। এছাড়া শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আবেদনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে গুম, হত্যা, এবং গণহত্যার মতো দেড়শোর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১০ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ২৫ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানিয়েছে, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার এই আবেদনের গুরুত্ব অপরিসীম। এর মাধ্যমে সামাজিক অস্থিতিশীলতা কমানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রের সামগ্রিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়াস চালানো হবে। আজকের শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।